Hrid Majhare

Let us stand beside Amphan Affected Bengal, save the date 13th June 9 PM IST, Click for registration

“এসো কিছু করি” (www.ekk.org.in) একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই সংস্থা গত তেরো বছর ধরে বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অভাবী মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার সহায়ক হয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছে। “এসো কিছু করি” পরিবারের ছেলেমেয়েরা আজ অনেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। আমাদের সদস্যরা সমাজের ও দেশের যে কোনো সমস্যা নিয়ে সংবেদনশীল । কিন্তু সংস্থাগত ভাবে আমাদের কর্মকাণ্ড ‘এসো কিছু করি’র মূল লক্ষ্যেই অঙ্গীকারবদ্ধ।

সম্প্রতি একটি কালান্তক ঘুর্ণীঝড়, “আম্ফান”-এ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল অসম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত। একদিকে মহামারীর করাল গ্রাস, অর্থনৈতিক সঙ্কট, দিনগুজরানের চরমতম সমস্যা, তার ওপর ঘুর্নীঝড়ের ভয়াল ক্ষয়ক্ষতি ও তার পরবর্তী জনস্বাস্থ্যের ওপর আগত সমস্যাগুলো আমাদের সদস্যদের ভাবিয়ে তুলেছে। “এসো কিছু করি” পরিবারের বহু ছাত্রছাত্রীদের ঘরবাড়ি এই ঘূর্ণীঝড়ের প্রকোপে তছনছ হয়ে গিয়েছে। আমাদের সদস্যরা এবং প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা, নিজেরা চাঁদা তুলে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা পাশ করে গেছে তারা এখনো “এসো কিছু করি” পরিবারের অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ। তাদেরও অনেকের বাড়িঘরের দশা অনুরূপ। আমরা চাইছিলাম তাদের পাশেও দাঁড়াতে।

এমত অবস্থায় জার্মানির মিউনিখ শহর থেকে এক তরুণ, শ্রী দীপ নাগ ও তার সহপাঠিনী শ্রীমতী সংহিতা দত্ত, আম্ফান বিধ্বস্ত বাংলায় কিছু অর্থ সাহায্যের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একটি উদ্যোগ নেন । প্রবাসী ভারতীয় সংহিতা দীর্ঘদিন “এসো কিছু করি”-র পৃষ্ঠপোষক। তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সিদ্ধান্ত হয় যে, যেহেতু অনুষ্ঠানটি আম্ফান বিদ্ধস্ত মানুষের সাহায্যের জন্য, তাই “এসো কিছু করি”-র ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে অর্থমূল্য উঠবে তা নির্ভরযোগ্য অন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনদের ভাগ করে দেওয়া হবে। ঝড় পরবর্তী অবস্থা মোকাবিলার জন্য বাংলার বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্নভাবে নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছেন। এরকম বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নাম ভাবা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, মহামারীর মাঝে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের আশু কর্তব্য। ওয়েষ্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম (WBDF) এই বিষয়ে এই মুহূর্তে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গত কয়েকদিনে সারা সুন্দরবন জুড়ে তাঁরা প্রায় ৭০টি ক্যাম্প করেছেন এবং আগামীদিনেও একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছেন। আমরা আমাদের বাড়তি অর্থমূল্য তাদের হাতে তুলে দেব। এছাড়াও আরো যে সমস্ত সংস্থা এই ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছেন এবং তাঁদেরও টাকাপয়সার প্রয়োজন আছে। যদি এই অনুষ্ঠান থেকে সেই পরিমাণ টাকা আসে তাহলে আমরা এরকম কিছু সংস্থার পাশেও থাকবো।


আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের এই উদ্যোগের পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু শিল্পী ও কৃতী মানুষ। শ্রী সৌমিত্র মিত্র, বাচিক শিল্পী, সংগঠক ও নাট্যনির্দেশক; শ্রীমতী দূর্বা বন্দোপাধ্যায়, গবেষক ও সমাজকর্মী; শ্রী পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, অভিনেতা, নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার; শ্রী দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, নাটক ও চলচ্চিত্র নির্দেশক; শ্রীমতী কুমকুম বাগচি, সঙ্গীতশিল্পী; শ্রীমতী সায়নী পালিত, সঙ্গীতশিল্পী; ডাঃ অর্জুন দাশগুপ্ত, প্রখ্যাত চিকিৎসক ও নাট্যকর্মী; শ্রীমতী মধুমিতা দত্ত, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী এবং সর্বোপরি শ্রীমতী ঊর্মিমালা বসু ও শ্রী জগন্নাথ বসু থাকছেন আমাদের এই উদ্যোগে আমাদের অনুষ্ঠানে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে আছেন শ্রী সুজয়নীল বন্দোপাধ্যায়।

আমাদের বিনীত অনুরোধ আপনারা আমাদের এই উদ্যোগের পাশে থাকুন। ১৩ই জুন ভারতীয় সময় রাত্রি ৯টায় ( সকাল ১০.৩০ আমেরিকার সেন্ট্রাল টাইম, বিকেল ৪:৩০ ব্রিটিশ সামার টাইম, 15:30 GMT )

টিকিটের জন্য নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন
https://musianamiles.com/hrid-majhare/reg.php

MEDHA 2017-2019, 16JULY 2017

We will get in touch with our students of Project Medha 2017-2019 and Sopan 2017 on 16th July 2017, Sunday at Senate Hall, Calcutta University, College Street. We cordially request to all our members, well wishers and supporters to join us there. We hope, all of you will be present in the program and encourage us to move ahead towards a brighter tomorrow.

Career Counselings

‘এসো কিছু করি’-র ছাত্রছাত্রীরা বেশিরভাগই এরাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামে থাকে। তাই উপযুক্ত মেধা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে অনেক সময়েই তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। কখনো বা সঠিক সিদ্ধান্ত নিলেও কোন পথে লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব তা জানা না থাকায় তারা সঠিক সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ফর্ম ভরে উঠতে পারেনা। এখন প্রায় সব প্রবেশিকা পরীক্ষার ফর্ম online হয়ে যাওয়ায় সেভাবে কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ না পাওয়া আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আরো বেশি করে অসুবিধার সম্মুখীন হয়।  ভিন্ন স্টাডিট্যুরে গিয়ে বা ফোনে কথা বলে আমরা বুঝতে পারি ওদের শহুরে সহপাঠীদের থেকে ভবিষ্যৎ পাঠক্রম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণার দিক থেকে ‘এসো কিছু করি’-র মেধা স্কলারদের বেশিরভাগই বেশ পিছিয়ে। এই সমস্যা দূর করার জন্যই আমাদের মেধা দ্বিতীয় বছরের বই দেওয়ার অনুষ্ঠানের সাথে সাথেই career options নিয়ে একটা presentation এর আয়োজন করা হয়। গত ২২-শে এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে অবনীন্দ্র সভাঘরে অনুষ্ঠিত তেমনই এক অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে একটি মনোগ্রাহী presentation পেশ করেন ‘এসো কিছু করি’-র সদস্য ডক্টর কৌশিক দাশশর্মা।